গত তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের আমলে জেলা প্রশাসন তারামন বিবির নামে কুড়িগ্রাম
সদর উপজেলার পৌরসভা সংলগ্ন হলোখানা ইউনিয়নের আরাজী পলাশবাড়ী
গ্রামে এক একর খাস জমিড় বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত জমির ওপর
কুড়িগ্রামের ২৭ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
কর্নেল
সুমন কুমার বড়ুয়ার উদ্যোগে স্থানীয় সুশীল সমাজ,
জেলা
প্রশাসন,
ব্যবসায়ী,
কুড়িগ্রাম
পৌরসভা ও বিডিআর জওয়ানরা মিলে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়।
নবনির্মিত
বাড়ি প্রাঙ্গণে রোববার বিকালে দলিল ও চাবি হস্তান্তর
উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো.আসাদুজ্জামান।
প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন
(অব.)
এ বি এম
তাজুল ইসলাম,
বিশেষ
অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
মো.
মোতাহার
হোসেন,
কুড়িগ্রাম-২
আসনের সংসদ সদস্য মো.
জাফর আলী
ও মহিলা সংসদ সদস্য আহমেদ সুলতানা নাজমীন।
টিনশেডের
আধাপাকা বাড়িটি চার
রুমের
। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৪৮ ফুট বাই ১৮ ফুট। এতে এ পর্যন্ত
ব্যয় হয়েছে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৬ টাকা। এ টাকার পুরোটাই
অনুদানের। এছাড়াও বাড়িটি নির্মাণে কাঠ,
বাঁশ,
ইট,
সিমেন্ট ও
রডসহ বিভিন্ন সামগ্রী অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে
বাড়িটি যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র হিসেবে
ব্যবহার করা যায় তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
জেলার রাজীবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামের অধিবাসী
তারামন বিবি মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১
নাম্বার
সেক্টরের রৌমারী ও রাজীবপুর এলাকায় হাবিলদার মুহিবের
নেতৃত্বে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। তার এ কৃতিত্বপূর্ণ
অবদানের জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাব পেলেও ২৫ বছর পর ১৯৯৫
সালে তিনি পরিচিতি পান। ১৯৯৫ সালে
ময়মনসিংহের একজন গবেষক বিমল কান্তি
প্রথম
তাঁকে খুঁজে বের করেন এবং নারী সংগঠন গুলো তাঁকে ঢাকায়
নিয়ে আসেন। সেই সময় তাকে নিয়ে পত্রিকায় প্রচুর
লেখালেখি হয়।
১৯৯৫ সালে তারামন
বিবিকে যখন আবিষ্কার করা হয় তখন তিনি ছিলেন ভূমিহীন। |